ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বুধবার (২ জুলাই) তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে অপেক্ষমাণ অবস্থায় নিহত হন ২৪ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (IDF) সরাসরি হামলা চালায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. মারওয়ান আল সুলতানের বাসভবনে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ওই হামলায় নিহত হয়েছেন তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরে এক বিবৃতিতে ডা. সুলতানকে "সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত" বলে দাবি করে, যদিও তাদের এই অভিযোগ নিরপেক্ষ উৎস দ্বারা যাচাই হয়নি।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা কর্তৃপক্ষ জানায়, অবরোধের কারণে জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা শত শত রোগী এখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। বহু আহতকে চিকিৎসা দেওয়ারও সুযোগ নেই।
কথিত নিরাপদ ঘোষণা করা আল-মাওয়াসির এলাকার একটি তাবুতে বিমান হামলায় নিহত হন অন্তত পাঁচজন, যাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। আহত হন আরও অনেকে।
এছাড়া, গাজার উত্তর ও দক্ষিণে শরনার্থী শিবিরে হামলায় আরও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৮২ শতাংশ এলাকা এখন হয় ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে, নয়তো উচ্ছেদের হুমকিতে। শেখ রাদওয়ান এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল বলেন,
"নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষ রাস্তায় তাবু খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছে। আর কোথাও ঠাঁই নেই।"
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৭,০১২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত ১,৩৪,৫৯২ জন।
বিশ্বজুড়ে মানবিক সংস্থা ও কূটনৈতিক মহল পরিস্থিতির জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, গাজায় সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
#GazaUnderAttack #IsraelPalestineConflict #GazaCrisis #PalestineNews #MarwanSultan #HumanitarianCrisis #AlShifaHospital #IDF #AlMawasi #WarCrimes #UNGaza #StopTheWar