ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এটি ইসলামাবাদের অষ্টমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ এবং ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো সভাপতিত্ব।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমদ বলেন:
"এই সময় বিশ্ব এক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে— যুদ্ধ, রাজনৈতিক সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতা আমাদের বাস্তবতা। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্ব পাকিস্তানের জন্য একটি বড় দায়িত্ব এবং তা আমরা গুরুত্ব সহকারে পালন করব।"
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব মাসভিত্তিক ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। যদিও এতে সরাসরি কোনো নির্বাহী ক্ষমতা থাকে না, তবুও সভাপতিত্বকারী দেশ পরিষদের এজেন্ডা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আলোচনার গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা পরিষদ গাজা, ইউক্রেন ও সুদান সংকটে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় সমালোচিত হচ্ছে। এমন সময়ে পাকিস্তানের নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
রাষ্ট্রদূত আসিম আরও বলেন:
"আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশ্বাসী। সংলাপ ও কূটনীতি আমাদের কৌশলের মূল ভিত্তি। আমরা জাতিসংঘ সনদের আলোকে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করব। স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তি এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।"
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য।
সভাপতিত্ব প্রতিমাসে ঘুরে ফিরে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের হাতে যায়।
সভাপতির ভূমিকা থাকলেও ভোটে ভেটো ক্ষমতা কেবল স্থায়ী সদস্যদের (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স)।
#UNSecurityCouncil #PakistanUN #AsimIftikhar #Geopolitics2025 #UNPresidency #GazaCrisis #UkraineWar #PakistanDiplomacy #GlobalSecurity