ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১০ এএম
মার্কিন বিচার বিভাগ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে গ্র্যান্ড জুরি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তের মূল ফোকাস— ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ প্রমাণে তথ্য জালিয়াতি করা হয়েছিল কিনা।
এই আদেশ দিয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের সুপারিশের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই একটি স্ট্রাইক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যারা এই অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন,
"রাশিয়াগেট ছিল একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ডেমোক্র্যাটরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তৈরির নাটক সাজিয়েছিল।"
বর্তমানে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী তুলসি গ্যাবার্ড গত মাসে একটি বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন:
ওবামা প্রশাসন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে
‘মার্কিন ইতিহাসে গোয়েন্দা সংস্থার সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিকীকরণ ঘটেছে’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই তিনি এই তদন্তমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করেন
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে গ্যাবার্ড লিখেছেন:
"গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে ওবামা প্রশাসনের এই অপব্যবহার। সত্যের স্বার্থে তদন্ত জরুরি।"
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার একজন মুখপাত্র এই অভিযোগগুলোকে "অবাস্তব ও বিভ্রান্তিকর" বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন,
“এসব অভিযোগ রাজনৈতিক নাটক ছাড়া কিছু নয়। জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে দুর্বল চেষ্টা।”
ডেমোক্র্যাট নেতারাও গ্যাবার্ডের রিপোর্টকে "ভিত্তিহীন" বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা মনে করিয়ে দেন যে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল—
রাশিয়া ট্রাম্পকে সহায়তা করতে চেয়েছিল, কিন্তু ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের প্রমাণ মেলেনি।
রাশিয়া আবারও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে—
“২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।”
#ObamaAdministration #Trump #RussiaGate #USPolitics #USDOJ #TulsiGabbard #ElectionInterference #FakeIntel #GrandJury #BarackObama #Trump2024 #DeepState