ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
এই মন্তব্যকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত সম্পর্কে অন্যতম কঠোর অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রবিবার ফক্স নিউজের জনপ্রিয় টকশো ‘Sunday Morning Futures’-এ অংশ নিয়ে স্টিফেন মিলার বলেন:
“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ভারতের পক্ষ থেকে এটি গ্রহণযোগ্য নয়—রাশিয়া থেকে তেল কিনে তারা কার্যত ইউক্রেন যুদ্ধকে অর্থায়ন করছে।”
তিনি আরও জানান:
“অনেকেই জানেন না, কিন্তু ভারত বর্তমানে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদের একজন, যা চীনের সমপর্যায়ের।”
যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের আহ্বান জানালেও নয়াদিল্লি তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এনডিটিভি ও রয়টার্স সূত্র জানায়, মার্কিন হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে।
ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রতিক্রিয়ায়, গত শুক্রবার থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
স্টিফেন মিলার স্বীকার করেন, ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্ক চমৎকার। তবে তিনি বলেন:
“আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। রাশিয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অর্থের উৎসগুলো বন্ধ করতে কূটনৈতিক, আর্থিক ও অন্যান্য সব পথ খোলা রয়েছে ট্রাম্পের সামনে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—তারা নিজেদের জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য চালিয়ে যেতে চায়। তবে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসন, এটিকে নৈতিক দ্বিচারিতা হিসেবে দেখছে।
#যুক্তরাষ্ট্রভারতসম্পর্ক
#RussiaIndiaOilTrade
#TrumpIndiaTension
#StephenMiller
#IndiaUS
#UkraineWar
#ModiTrump
#Geopolitics2025