ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
এক অনলাইন চ্যাটে ‘রবার্ট’ ছদ্মনামে পরিচিত হ্যাকার দাবি করেছেন, তাদের কাছে রয়েছে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস, ট্রাম্পের আইনজীবী লিন্ডসে হালিগান, উপদেষ্টা রজার স্টোন, এবং স্টর্মি ড্যানিয়েলসের গুরুত্বপূর্ণ ইমেইলগুলো।
হ্যাকাররা সরাসরি বলেছে, তারা ইমেইলগুলো বিক্রি করতে চায়, তবে কার কাছে বা কোন মাধ্যমে তা জানায়নি। একই সঙ্গে তারা ফাঁস হওয়া তথ্যের বিস্তারিতও প্রকাশ করেনি।
তবে রয়টার্স জানায়, এর আগে হ্যাকারদের ফাঁস করা কিছু ইমেইলের সত্যতা যাচাই করে দেখা গেছে, সেখানে ট্রাম্প ও রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র-এর আইনি দলের আর্থিক যোগাযোগের প্রমাণ ছিল।
হোয়াইট হাউস ও এফবিআই এক বিবৃতিতে ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল-এর বক্তব্য প্রকাশ করে জানিয়েছে:
"জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মতো অপরাধে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তবে ট্রাম্পের আইনজীবী, স্টোন কিংবা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে অতীতে ইরান সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছিল, এই হ্যাকিং অপারেশনের পেছনে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস রয়েছে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ‘রবার্ট’ ঘোষণা দিয়েছিল—"আমি অবসর নিয়েছি, ভাই"। কিন্তু ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা পরিস্থিতিকে পাল্টে দিয়েছে।
রয়টার্সের সঙ্গে সাম্প্রতিক কথোপকথনে ‘রবার্ট’ জানান,
“আমরা চুরি করা ইমেইলগুলো বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপনি (রয়টার্স) এটি প্রচার করুন।”
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট-এর স্কলার ফ্রেডারিক কাগান বলেন:
“ইরান সশস্ত্র প্রতিশোধ না নিয়ে এমন কৌশল বেছে নিচ্ছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উত্তেজনা না বাড়ায়, কিন্তু বার্তা পৌঁছায়।”
তবে মার্কিন সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা CISA সতর্ক করে জানিয়েছে—ইরান এখনো যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও কোম্পানিগুলোর জন্য হুমকি হিসেবে রয়েছে।
#IranHackers #TrumpEmailLeak #CyberAttack #USIranConflict #RobertHacker #CyberSecurityThreat #FBIInvestigation #WhiteHouseLeak #Election2024 #DonaldTrumpNews #TehranHack #MiddleEastCyberWar