ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ল্যামি বলেন, “ত্রাণ বিতরণের নামে যে মানবিক ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, তা আমরা সমর্থন করি না। গাজায় হাজারো মানুষ অনাহারে রয়েছেন। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।”
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত “গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF)” গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করলেও সম্প্রতি এর কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্রে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তত ৭৫০ জন নিহত হয়েছেন।
ল্যামি বলেন, “এ সংস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে না। যুক্তরাজ্য বৈশ্বিকভাবে এর সমালোচনায় সামনের সারিতে রয়েছে।”
ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের দুই কট্টর ডানপন্থী নেতা—অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির—এর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে তাঁদের সম্পদ থাকলে তা জব্দ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ।
ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা স্থগিত করেছে এবং কিছু অস্ত্র রপ্তানিও বন্ধ করেছে।
তবে অনেকেই বলছেন, এসব পদক্ষেপ এখনো প্রতীকী পর্যায়েই রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের জবাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্য এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে ল্যামি বলেছেন, “আমরা প্রতীকী কিছু করতে চাই না। বরং এমন সময় স্বীকৃতি দিতে চাই, যা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথকে বাস্তবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
#গাজা_সংকট
#যুক্তরাজ্য_ইসরায়েল
#ডেভিড_ল্যামি
#GHF_সমালোচনা
#ইসরায়েল_নিষেধাজ্ঞা
#ফিলিস্তিন_স্বীকৃতি
#মধ্যপ্রাচ্য_সংঘাত
#UK_ForeignPolicy
#GazaCeasefire