ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সাময়িক কৌশলগত পরিবর্তন, নাকি দীর্ঘস্থায়ী জোট পুনর্বিন্যাস—তা এখনই বলা কঠিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার কৌশলগত মেরুকরণ নতুন আকার নিচ্ছে।
পাকিস্তান কিছু কৌশলগত সুবিধা পেতে শুরু করেছে। একদিকে ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ পেতে সচেষ্ট, অন্যদিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) প্রকল্পের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীল।
চীনের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দেশটি পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিং সরাসরি অর্থায়ন এবং অবকাঠামো প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভিন্ন কৌশল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে পাকিস্তান একাধিক ক্ষেত্রে তার কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছে।
শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়ে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে ‘শান্তির প্রতীক’ হিসেবে তুলে ধরেছে।
২০২১ সালে কাবুল হামলার এক সন্দেহভাজনকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করেও তারা সহানুভূতি অর্জন করেছে।
এইসব পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে সহায়ক ছিল।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়াড জোটের সদস্য হয়েও চীন-প্রভাবিত ব্রিকস জোটে সক্রিয়। এতে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লির সম্পর্কে দ্বৈততা তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে ব্রিকস জোট ডলারের বিকল্প আন্তর্জাতিক মুদ্রা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে—যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট বার্তা। এই অবস্থানেই রয়েছে ওয়াশিংটনের অসন্তোষের মূল কারণ।
২০২৪ সালের মে মাসে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের পাল্টা আক্রমণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে পাকিস্তানের সংযম—সব মিলিয়ে এই সময়ের ঘটনাগুলো যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ককে কিছুটা গভীর করে তোলে।
অন্যদিকে, মোদি প্রশাসনের একাধিক সিদ্ধান্ত, যেমন:
যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল
পাকিস্তানবিরোধী সামরিক অভিযান
এই পদক্ষেপগুলো ট্রাম্পের মধ্যে ভারত সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করে।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর বাণিজ্য শুল্ক চাপিয়ে, রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষ করে নয়াদিল্লিকে একপ্রকার চাপে রাখছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন,
“যদি ভারত এই চাপের কাছে নতি স্বীকার করে, পাকিস্তানের সুবিধা অস্থায়ী হবে। আর যদি না করে, তবে ইসলামাবাদ ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।”
#পাকিস্তানযুক্তরাষ্ট্রসম্পর্ক #ভারতযুক্তরাষ্ট্রসম্পর্ক #চীনপাকিস্তান #CPEC #BRI #BRICS #ভূরাজনীতি #ডোনাল্ডট্রাম্প #ভারতপাকিস্তান #USIndiaTensions #GeoPolitics #SouthAsiaSecurity #TrumpDiplomacy