ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম
আপডেট: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম
তিনি বলেন, ন্যাটোর রাশিয়াবিরোধী নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক পদক্ষেপের জবাবে মস্কো আরও কঠোর ও সামরিকপন্থী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
সোমবার সামাজিক মাধ্যম X (সাবেক টুইটার)-এ মেদভেদেভ লেখেন:
“এটি এক নতুন বাস্তবতা। আমাদের প্রতিপক্ষদের এটি মাথায় রাখা উচিত। অপেক্ষা করুন, আরও পদক্ষেপ আসছে।”
তিনি এর আগে একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে আগ্রাসী মন্তব্য করেছেন, তবে এবার “আরও পদক্ষেপ” বলতে কী বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
চুক্তির নাম: INF (Intermediate-range Nuclear Forces Treaty)
স্বাক্ষর: ১৯৮৭, রোনাল্ড রিগ্যান (US) ও মিখাইল গর্বাচেভ (USSR)
বৈশিষ্ট্য: ৫০০-৫,৫০০ কিমি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ
২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ তোলে যে, রাশিয়া চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং চুক্তি থেকে সরে যায়। মস্কো পাল্টা যুক্তি দেয়, যুক্তরাষ্ট্র আগে অস্ত্র মোতায়েন করছে।
এই ঘোষণা দেওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই জানান, মেদভেদেভের মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন উপযুক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করেছে। এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়:
“এশিয়া-প্যাসিফিক ও ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার যৌক্তিকতা নেই।”
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন:
“পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।”
ট্রাম্প সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো না হলে রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা, এমনকি রাশিয়ার তেল ক্রেতা দেশ ভারত ও চীনের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
চুক্তি | INF (পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধকরণ) |
স্বাক্ষর | ১৯৮৭, USA-USSR |
যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া | ২০১৯ |
রাশিয়ার ঘোষণার তারিখ | ৫ আগস্ট ২০২৫ |
প্রতিক্রিয়া | মেদভেদেভের হুঁশিয়ারি, ট্রাম্পের সাবমেরিন মোতায়েন |
#রাশিয়া
#যুক্তরাষ্ট্র
#INFচুক্তি
#ক্ষেপণাস্ত্র
#মেদভেদেভ
#পারমাণবিকঅস্ত্র
#ট্রাম্প
#আন্তর্জাতিকরাজনীতি
#RussiaUSAConflict