ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রমবাজার : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব তথ্য জানান।
আসিফ নজরুল বলেন,
“মালয়েশিয়ায় ১০-১২ লাখ কর্মী নেবে—এমন হাইপ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমি সেখান থেকে ঘুরে এসে জানাচ্ছি—আগামী এক বছরে ৩০ থেকে ৪০ হাজারের বেশি কর্মী নেওয়া হবে না।”
তিনি জানান, আগের সরকারের আমলে রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা নির্ধারণ করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে, যেটিকে সাধারণভাবে “সিন্ডিকেট” বলা হয়।
“এই চুক্তি পরিবর্তন না হলে আমাদের হাতে দুইটাই পথ—তাদের নির্ধারিত এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো, অথবা পাঠানো বন্ধ রাখা। কিন্তু যদি কর্মী না পাঠাই, তাহলে কয়েক লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টা বাস্তববাদীভাবে দেখতে হবে।”
আসিফ নজরুল বলেন, জাপানে কর্মীর চাহিদা থাকলেও আমাদের সমস্যা দক্ষতা ঘাটতি। তিনি জানান:
“ভাষা শেখার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন জরুরি। এজন্য আমরা ‘জাপান সেল’ চালু করেছি এবং একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করছি।”
তিনি আরও জানান, প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে কারিগরি প্রশিক্ষণ উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মনোহরদী টিটিসি ইতোমধ্যে জাপানি উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা জাপানের উপযোগী দক্ষতা দিতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী বলেন,
“বিদেশগামীদের অনেকেই ভুয়া সার্টিফিকেট ও জাল ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন, যার ফলে মালয়েশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ভিসা জটিলতা তৈরি হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন:
“জাপানের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ আবেদনকারীদের অনেকেই ভুয়া তথ্য দিচ্ছেন। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
#মালয়েশিয়া_শ্রমবাজার #জাপানকর্মীচাহিদা #প্রবাসীকল্যাণ #আসিফ_নজরুল #সিন্ডিকেট #রেমিটেন্স #বিদেশযাওয়া #বাংলাদেশশ্রমবাজার #NISEC #টিটিসি #লুৎফে_সিদ্দিকী