ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ এএম
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ এএম
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে বিবিসি ও আল জাজিরার লাইভ আপডেট অনুযায়ী, ভোররাতে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়। এর আগে কম্বোডিয়ার ছোড়া রকেটের আঘাতে দুইজন থাই বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ দেওয়া এক পোস্টে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানায়, ‘‘কম্বোডিয়ান ব্যাটালিয়নে বোমা বর্ষণের পর সকল F-16 যুদ্ধবিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে।’’
থাই বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯-কে সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল সামরিক হুমকি প্রতিহত করা।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে,
"থাইল্যান্ড আমাদের ভূখণ্ডে অবৈধ আগ্রাসন চালিয়েছে, ভারী অস্ত্র এবং বিমান হামলা ব্যবহার করে। এটি একটি জঘন্য সামরিক আগ্রাসন এবং জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন।"
তাদের অভিযোগ, থাইল্যান্ড জোরপূর্বক দখল প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে এবং আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় দুই দফা বিমান হামলা চালিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন:
“কম্বোডিয়া শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী, কিন্তু এই সশস্ত্র হামলার জবাবে বল প্রয়োগই একমাত্র উত্তর।”
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী সুরিন প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানান,
“সীমান্ত লাগোয়া ৮৬টি গ্রাম থেকে অন্তত ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
এখন পর্যন্ত দুই দেশের সেনাবাহিনী সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক মহল এই উত্তেজনার দ্রুত অবসান চাচ্ছে।
#থাইল্যান্ড #কম্বোডিয়া #সীমান্ত_উত্তেজনা #যুদ্ধবিমান #বোমা_হামলা #আন্তর্জাতিক_সংবাদ #F16 #হুন_মানেত #আগ্রাসন #BBC #AlJazeera #MilitaryConflict #BreakingNews #UNCharter #SoutheastAsia