ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি ও কাতারভিত্তিক আলজাজিরা সূত্রে জানা যায়, ইরান এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করল।
তেহরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের পার্লামেন্ট সম্প্রতি একটি আইন পাস করে, যেখানে আইএইএ-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তা অনুমোদন দেওয়ায় এখন থেকে দেশটির জন্য আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ রাখা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের পথ বন্ধ করে দেবে। ফলে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে। দীর্ঘদিন ধরেই আইএইএ ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম তদারকি করে আসছিল।
পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে, স্বচ্ছতা হারালে ইরান তার বেসামরিক কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোতে পারে। যদিও তেহরান বারবার বলেছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসা গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মধ্য দিয়ে গেছে।
১৩ জুন, ইসরায়েল একটি সামরিক ও পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়।
জবাবে, ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল আক্রমণ করে।
সংঘাতের এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
১২ দিনের সংঘর্ষের পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যেখানে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখেন।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইএইএ থেকে ইরানের এই বিচ্ছিন্নতা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
#ইরান #IAEA #পরমাণুকর্মসূচি #আন্তর্জাতিকরাজনীতি #ইসরায়েল #যুক্তরাষ্ট্র #পারমাণবিকচুক্তি #মধ্যপ্রাচ্য #MasoudPezeshkian #UNNuclearAgency