ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক এবং আমদানি করা সব আইফোনে ২৫% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ১ জুন থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
🔎 কি বললেন ট্রাম্প?
▪️ ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেন, “ইইউর বাণিজ্য বাধা ও আর্থিক কারসাজি যুক্তরাষ্ট্রকে বছরে $২৫০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করছে”
▪️ অভিযোগ: মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ‘অযৌক্তিক মামলা’ করছে ইউরোপ
▪️ দাবি: “ইইউর সঙ্গে সমঝোতা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে”
📉 বাজারে প্রতিক্রিয়া:
▪️ নাসডাক সূচক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত — অ্যাপলের শেয়ার কমেছে ৩%
▪️ প্যারিস ও ফ্রাঙ্কফুর্ট: ১.৫% হ্রাস
▪️ লন্ডন FTSE 100: দিনের শেষে নেতিবাচক
▪️ জার্মানি DAX: বাড়তি দিয়ে শুরু, পরে পতন
📞 ইইউর পাল্টা সুর:
▪️ ইইউ বাণিজ্যপ্রধান মারোস সেফকোভিচ বলেন—"হুমকি নয়, আমরা সম্মানের ভিত্তিতে চুক্তি চাই"
▪️ তিনি মার্কিন বাণিজ্য দূত জেমিসন গ্রিয়ার ও বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন
📊 পটভূমি:
▪️ ২০২৪ সালের এপ্রিলেই ইউরোপীয় পণ্যে ২০% শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্র
▪️ পরে তা অর্ধেকে নামিয়ে ৯০ দিনের আলোচনা সময়সীমা নির্ধারণ
▪️ ২০২৪ সালে ইইউর রপ্তানি: প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউরো ($৫৬৬ বিলিয়ন)
📱 আইফোন নিয়ে বিশ্লেষকদের মত:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইফোনে শুল্কের হুমকি আসলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার জন্য অ্যাপলের ওপর চাপ সৃষ্টি। এতে প্রযুক্তিখাতে অস্থিরতা বাড়বে বলেও মত বিশ্লেষকদের।
🇮🇳 ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা: পাল্টা শুল্কে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র
▪️ ট্রাম্প প্রশাসনের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ২৫% শুল্কের জবাবে ভারত ২৯টি মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেয়
▪️ যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) অভিযোগ করেছে
▪️ ভারতের বার্ষিক ইস্পাত রপ্তানি মার্কিন বাজারে: প্রায় ৩০০ কোটি ডলার
🧭 ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডসের বার্তা:
ফরাসি বাণিজ্যমন্ত্রী লরঁ সাঁ-মারতাঁ: “উত্তেজনা কমাতে চাই, তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত”
ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কোফ: “ইইউ তার নির্ধারিত কৌশলে অটল থাকবে”
📌 বিশেষ বিশ্লেষণ:
বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝে ট্রাম্পের এ ঘোষণায় নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ নয়, বরং বিশ্ববাজার ও ভোক্তাদের ওপরও পড়তে শুরু করেছে।