ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫
আপডেট : ২১ মে ২০২৫
বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, করিডোর নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে কথা বলিনি, ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।"
তিনি আরও বলেন, “করিডোর বলতে বোঝায়—দুর্যোগকালে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার পথ। কিন্তু আমরা কাউকে সরাচ্ছি না। জাতিসংঘের অনুরোধে, শুধুমাত্র ত্রাণ পরিবহণে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এটা করিডোর নয়, বরং একটি মানবিক সহায়তা চ্যানেল।”
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, “জাতিসংঘ বিগত ৬-৭ বছর ধরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে আসছে। তারা এখন রাখাইনের ভেতরে সহায়তা পাঠাতে আমাদের সীমিত সহযোগিতা চাচ্ছে। আমরা ত্রাণ পাঠাতে সাহায্য করছি, এর বাইরে কিছু না।”
সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যার কোনো অস্তিত্বই নেই, সেই ‘করিডোর’ নিয়ে আলোচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। রাখাইনের পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল, তাই প্রত্যাবাসন নিয়েও আলোচনা করার সময় আসেনি।”
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ চ্যানেল শুধুমাত্র মানবিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে—এটি কোনো সামরিক বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম নয়। তবে সমালোচকরা এটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে গত ৪ মে বিইউপিতে একটি সেমিনারেও খলিলুর রহমান বলেন, এটি ‘করিডোর’ নয় বরং একটি ‘মানবিক চ্যানেল’, এবং এর সংজ্ঞা ও প্রয়োগ একেবারেই ভিন্ন।