ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর মগবাজারের আল-৭ মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন—
“বিগত আমলে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এবার এমন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ।”
তিনি আরও বলেন,
“এই মে মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে আগামী জুনেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক এবং তা জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক।”
জামায়াত আমির বলেন—
“বিগত কয়েক দিনের ঘটনা দেশের মানুষকে চরমভাবে বিচলিত করেছে। কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে সবাইকে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। জাতীয় স্বার্থে আলোচনা করতেই হবে।”
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন:
“কারও ভুল বোঝাবুঝির কারণে জাতি যদি আবারো সংকটে পড়ে, তাহলে তার দায় কেউ এড়াতে পারবে না।”
🔸 আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া এখনও জনগণের কাছে দৃশ্যমান নয়। এটি নিরপেক্ষ ও নির্ভুলভাবে করা উচিত।”
🔸 মানবিক করিডোর নিয়ে তিনি বলেন—
“এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজন হলে এটি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।”
🔸 সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে বলেন—
“সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার যেকোনো উদ্যোগ পরিহার করতে হবে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন,
“নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের ওপর আস্থা রাখা হয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে জাতীয় সংকট নিরসনে এগিয়ে আসুক।”
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন—
“দুর্নীতিমুক্ত, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতকে সহযোগিতা করুন।”
📌 সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
এ বক্তব্যের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী একদিকে তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্যদিকে সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির প্রতি গঠনমূলক সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল স্পষ্ট।