ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার বাংলামোটরে দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ বলেন—
“তারা যদি রাজনীতি ও নির্বাচন করতে চান, তাহলে সেটা সরকারের অংশ হয়ে করা যাবে না। সরকার থেকে বের হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও সেই সময় তাদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু এখন কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বা রাজনৈতিক দল করতে চায়, সেটা স্বাধীনভাবে করতে হবে।”
দুই উপদেষ্টার নাম এনসিপির সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টাকে “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার” হিসেবে আখ্যায়িত করে নাহিদ বলেন—
“আমরা তাদের হেয় করার এই অপচেষ্টার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা আমাদের সঙ্গে নেই, এবং কোনো সাংগঠনিক সম্পর্কও নেই।”
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন—
“এই সরকার গঠিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। তাই সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটির রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“শুধু নির্বাচন যথেষ্ট নয়। জুলাই অভ্যুত্থান এবং পূর্ববর্তী অপরাধের বিচার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, আর সেই ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি—এই তিনটি একসঙ্গে অগ্রাধিকার পেতে হবে।”
🔹 সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে, নাহিদ বলেন—
“যেসব সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিলে জনগণের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা আরও বাড়বে।”
🔹 নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“বর্তমান নির্বাচন কমিশন আস্থা ও নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তারা যদি এই সংকট থেকে বের না হতে পারে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।”
নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন—
“আমরা আশা করি জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা হবে, যেখানে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি সমাধানের পথ নির্ধারিত হবে।”
📌 সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এনসিপি একদিকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, অন্যদিকে সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টাদের উপর নৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে রাজনীতি ও প্রশাসনের ব্যবধান নির্ধারণে। একইসঙ্গে, “বিচার-সংস্কার-নির্বাচন” এই ত্রিস্তর রোডম্যাপের দাবি দিয়ে দলটি আগাম নির্বাচন প্রস্তুতির পটভূমিতে অবস্থান নিচ্ছে।