ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির জবাবে ‘সম্মানের’ আহ্বান ইউরোপীয় ইউনিয়নের

🗣️ ইইউর প্রতিক্রিয়া

ইউরোপীয় কমিশনের বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকভিস বলেন:

“ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক অনন্য। একে হুমকি নয়, বরং পারস্পরিক সম্মান ও আলোচনার মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত। আমরা একতরফা শুল্কের বিরুদ্ধে এবং আমাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত।”

🔊 ট্রাম্পের হুমকি

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন:

“ইইউর সঙ্গে আলোচনা আশানুরূপ নয়। তাই ১ জুন থেকে উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে। তবে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়ায়, তাহলে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হতে পারে।”

তিনি আরও হুমকি দিয়েছেন যে, অ্যাপলের আইফোন সহ যেকোনো বিদেশে উৎপাদিত স্মার্টফোনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হতে পারে।

📊 বাণিজ্য ভারসাম্য ও তথ্য

এই বাণিজ্য ঘাটতিকে অজুহাত দেখিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যিকভাবে শোষণ করছে। বিশেষ করে গাড়ি ও কৃষিপণ্য খাতে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

🌍 ইউরোপীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া

• 🇮🇪 আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন: “এই পথে আমাদের যাওয়া উচিত নয়। আলোচনাই একমাত্র টেকসই পথ।”

• 🇫🇷 ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী: “আমরা উত্তেজনা চাই না, তবে প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত।”

• 🇩🇪 জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্যাথেরিনা ঘাইচা: “আমরা চাই ইইউ কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাক। সবকিছু সম্ভব করব।”

• 🇳🇱 নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ: “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সব সময়েই শুল্ক কমানোর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সেই পথেই আমরা আছি।”

📉 বাজার প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের হুমকির পরই:

• এসঅ্যান্ডপি ৫০০: ০.৭% কমেছে

• জার্মানির ডিএএক্স: ১.৫% এর বেশি হ্রাস

• ফ্রান্সের CAC 40: উল্লেখযোগ্য পতন

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

🧠 বিশ্লেষণ: কী দাঁড়াবে সামনে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্প তার বাণিজ্য কৌশলকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।