ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ পর্যায়ের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে মামলা করেছেন দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য এবং মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন:
জিএম কাদের, চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি
মুজিবুল হক চুন্নু, মহাসচিব
রেজাউল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব
নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য
শেরিফা কাদের, জিএম কাদেরের স্ত্রী
মো. সাঈদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য
হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান
আকরাম, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি
নাজমুল, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক এডিসি
পবিত্র সরকার, এসআই, বিমানবন্দর জোনাল টিম
মামলার অভিযোগে নাজমিন তুলি বলেন,
“নরসিংদী-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। জিএম কাদের আমাকে মনোনয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি টাকা না দিলে পরে আমাকে মামলা ও দলীয় কোন্দলের মাধ্যমে হয়রানি করা হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন,
“২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে আমার বাসায় হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করে লুট করা হয় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপ। এরপর প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।”
নাজমিন সুলতানা বলেন,
“আমি এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ভয়ভীতি দেখানো হয়। আমি দীর্ঘদিন ট্রমায় ভুগেছি, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি। যারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন, আমি তাদের বিচার চাই।”
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে। জাপার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
📌 এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী উঠে আসে এবং আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়।