ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অংশ নেয় তিন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা। বৈঠকে আলোচনা হয় পারমাণবিক কর্মসূচি, JCPOA (Joint Comprehensive Plan of Action), ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা এবং বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রতিরোধ নিয়ে।
🔹 পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ আখ্যা দিল ত্রয়ী দেশ
🔹 JCPOA থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ফলে 'স্ন্যাপব্যাক' ব্যবস্থা আর প্রযোজ্য নয়
🔹 পারস্পরিক কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার অঙ্গীকার
🔹 আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভবিষ্যৎ বৈঠকের ঘোষণা
ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি বলেন, "যদি ইউরোপীয় দেশগুলো জাতিসংঘের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করে, সেটা হবে সম্পূর্ণ বেআইনি।"
তিনি আরও বলেন, “এই বৈঠকের মাধ্যমে আমরা কেবল রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের নতুন ভিত্তি স্থাপন করছি।”
ইরান মনে করছে, এ ধরনের ত্রিপাক্ষিক ঐক্য ভবিষ্যতে বহুমুখী আঞ্চলিক কাঠামো গঠনের কৌশলগত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি "একতরফাবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রতিরোধ"।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা শুধু ইরান নয়, বরং দক্ষিণ গোলার্ধের বহু উন্নয়নশীল দেশের ওপর মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে।”
বৈঠকের পরপরই ঘোষণা এসেছে— ইরান ও ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পরবর্তী দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে ইস্তাম্বুলে।
কাজেম গারিবাবাদি জানান, "তেহরান সেই আলোচনায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বাস্তববাদী প্রস্তাব উত্থাপন করবে। তবে সব নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।"
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক এবং তাতে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে— রাশিয়া, চীন ও ইরান এখন এক কৌশলগত বলয় গঠনের দিকে এগোচ্ছে, যার লক্ষ্য পশ্চিমা চাপ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা।
#রাশিয়া_চীন_ইরান
#JCPOA
#পশ্চিমা_নিষেধাজ্ঞা
#ত্রিপাক্ষিক_বৈঠক
#তেহরান
#স্ন্যাপব্যাক
#Geopolitics
#IranDiplomacy
#ChinaRussiaIran