ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে শহীদ মিনারের বেদিতে হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবস্থান করতে দেখা যায়। এ সময় কেউ কেউ জুতা-স্যান্ডেল পরে বেদিতে উঠেন, অনেকে সেখানে বসে পান-সিগারেট বিক্রি করছিলেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, সচেতন মহল প্রতিবাদে মুখর হয়।
খেলাঘর বরগুনা শাখার চারুকলা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান বলেন, “শহীদ মিনারে এমন অপমানজনক দৃশ্য বরদাশত করা যায় না। পৌরসভার দায়িত্বহীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আগেভাগেই নিষেধ করা হলে এ অপ্রীতিকর দৃশ্যের সৃষ্টি হতো না।”
হাটের ইজারাদার তহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “শুধুমাত্র একদিনের জন্য জায়গা সংকটে শহীদ মিনার মাঠে হাট বসানো হয়েছিল। ভবিষ্যতে সেখানে আর হাট বসবে না।”
পৌর প্রশাসনের দায়িত্বরত উপপরিচালক অনিমেষ বিশ্বাস জানান, “ইজারাদারকে মৌখিকভাবে একদিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে শহীদ মিনারের সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে জেনে আমি নিজে হাটে মাইকিং করে লোকজন সরিয়ে দিই। পরবর্তী হাট শিশু সদন মাঠে বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তবে শিশু সদন মাঠেও সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষের উপর চাপ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই ঘটনা কেন্দ্র করে শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় নাগরিকদের দাবী—এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
ট্যাগসমূহ (Tags):
#বরগুনা #শহীদ_মিনার #গরুর_হাট #পৌরসভা #সচেতন_মহল #সমালোচনা #সংস্কৃতিকর্মী #শহীদদের_সম্মান #বাংলাদেশ_খবর #স্থানীয়_প্রশাসন #জাতীয়_সম্মান