ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫
এটি তার প্রথম বাংলাদেশ সফর, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সফর সফল করতে ইতোমধ্যেই দুই দেশের কর্মকর্তারা চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এই সফরের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে, যখন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ঢাকা সফর করেন। তিনি ৫ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সেই বৈঠকে বৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনায় আসে। পাশাপাশি, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, মানবপাচার রোধ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে দুই দেশ একমত হয়।
বিশেষ করে ঢাকার সঙ্গে রোমের কূটনৈতিক সম্পর্ক নবায়ন ও নতুন করে উজ্জীবিত করার ব্যাপারে ইতালি আগ্রহী বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও। তিনি তখনই ঘোষণা দেন যে, সেপ্টেম্বরের আগেই প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশ সফর করবেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূসও আশ্বাস দেন, বাংলাদেশ অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধে ইতালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।
এর আগে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মেলোনির। সে সময় তিনি বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া, সামাজিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন এবং ইতালির সমর্থনের আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী মেলোনির আসন্ন সফরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে।