ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫
🛑 তিন দিনের সীমান্ত সংঘর্ষে বহু হতাহতের পর শান্তি আলোচনায় রাজি দুই দেশ
📞 ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ফোনে কথা বলেন থাই ও কম্বোডিয়ান নেতাদের সঙ্গে
⚠️ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন: যুদ্ধ বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে
🤝 জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া অবশেষে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিপূর্ণ আলোচনায় সম্মত হয়েছে।
গত তিন দিনে সীমান্তে ঘনঘন গোলাগুলি ও মর্টার হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত এক ডজনের বেশি মানুষ, আহত শতাধিক।
ট্রাম্প জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন,
“আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছি— যদি সংঘর্ষ থামানো না হয়, তাহলে দুই দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে যাবে।”
থাইল্যান্ড বলেছে, তারা নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ দেখাতে হবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন,
“আমরা শান্তি চাই, তবে শুধু কথায় নয়— কম্বোডিয়াকে তা প্রমাণ করতে হবে।”
এর আগে কম্বোডিয়া জাতিসংঘের মাধ্যমে একটি শান্তি প্রস্তাব পাঠায় ব্যাংককে। তারা জানায়,
“সংঘর্ষ অর্থহীন। আলোচনার মাধ্যমেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন,
“দুই দেশের সীমান্ত সংঘর্ষ গভীর উদ্বেগের বিষয়।
আমি উভয় পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা শুরুর আহ্বান জানাচ্ছি।”
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে বহু বছর ধরেই ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
এবারের সংঘর্ষ শুরু হয় একটি বিতর্কিত টহলদারি নিয়ে। তিন দিনে বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি, গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।
অন্তত ১০ জন সৈন্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
#থাইল্যান্ড_কম্বোডিয়া #সীমান্তসংঘর্ষ #DonaldTrump #শান্তিচুক্তি #যুদ্ধবিরতি #কম্বোডিয়া #থাইল্যান্ড #আন্তর্জাতিকসংবাদ #UNPeaceCall #IndoChinaTensions