ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫
রোববার (২৫ মে) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে ১৪ মে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণে বাধা চেয়ে একটি রিট দায়ের করেছিলেন ঢাকার এক বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। তবে সেই রিট হাইকোর্ট ২৩ মে খারিজ করে দেন।
বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ বলেন,
“এই রিট করার এখতিয়ার রিটকারীর নেই। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিষয় এখানে আসা সমীচীন হয়নি।”
সেই রিটে শুধু শপথের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়নি, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল, যিনি ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তার রিটে তাকে দ্রুত শপথ গ্রহণের সুযোগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়েছেন। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিরবতা এবং বিলম্বের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ করা হলো।
তিনি দাবি করেছেন,
“নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমি বৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছি। আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শপথ গ্রহণ করতে না দেওয়াটা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী।”
রিটটি এখন হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠবে। আদালত যদি রুল জারি করেন বা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন, তাহলে প্রশাসনের ওপর ইশরাককে শপথ করানোর আইনি চাপ বাড়বে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ইশরাক হোসেন। ভোটে তিনি পরাজিত হন। এরপর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলা করেন, যা সম্প্রতি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ইশরাকের পক্ষে রায় দেয়।
সেই রায়ের ভিত্তিতে ইশরাক নিজেকে বৈধ মেয়র হিসেবে দাবি করছেন।
বিএনপি ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ইশরাককে শপথ গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে,
“আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই জনগণ আন্দোলন করেছে। এখন আদালতের রায় কার্যকর না হলে সেটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে।”