ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫
বিল অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেকোনো রেমিট্যান্স বা অর্থ স্থানান্তরের ওপর সরাসরি ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। কর সংগ্রহ করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠান, যারা সরকারকে সেই অর্থ হস্তান্তর করবে। কর পরিশোধ না করলেও পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকবে।
তবে এই করের আওতায় থাকছেন না মার্কিন নাগরিক ও সেদেশে জন্ম নেওয়া ব্যক্তি—তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র এবং কোষাগারের সঙ্গে বিশেষ চুক্তির আওতায় থাকতে হবে। বিলটি রেমিট্যান্সের পরিমাণভেদে কোনো করছাড়ের সুযোগ দেয়নি, অর্থাৎ ক্ষুদ্র বা বড় যেকোনো পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রেই কর প্রযোজ্য হবে।
এই নতুন আইনের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ভারতের ওপর। কারণ, ভারত হলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র তার প্রধান উৎস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত প্রায় ১১৮.৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যার ২৭.৭ শতাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
এই অর্থের বড় অংশ আসে H-1B ও L-1 ভিসাধারী ভারতীয় পেশাজীবীদের কাছ থেকে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ইস্যু হওয়া H-1B ভিসার ৭০ শতাংশেরও বেশি গিয়েছে ভারতীয়দের কাছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিল কংগ্রেসে পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রায় ৪৫ লাখ ভারতীয়ের উপর সরাসরি অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত প্রবাসী কর্মীদের জন্য এটি হবে আর্থিকভাবে একটি বড় চাপ।