ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫
মঙ্গলবার সকালে বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন,
“এই প্রস্তাব নৈতিক করদাতাদের প্রতি অবিচার এবং বৈধপথে উপার্জনকারীদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। এতে সরকারের তেমন রাজস্বও আসবে না। বরং সমাজে বৈষম্য বাড়বে।”
তিনি বলেন,
“কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকার ফলে আবাসন খাতের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এতে করে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির পক্ষে ফ্ল্যাট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।”
সিপিডি মনে করে, এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যের বিপরীত।
“জুলাই আন্দোলন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। বাজেটও সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রস্তাব সেই চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
ড. ফাহমিদা আরও বলেন,
“প্রস্তাবে বলা হয়েছে ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনার সময় অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহার করা যাবে বর্ধিত হারে কর দিয়ে। কিন্তু এই ধরনের সুযোগ সাধারণ মানুষকে বাড়ি কেনার প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দেয়।”
তিনি কালো টাকা বৈধ করার প্রস্তাবকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন এবং এই ধরনের প্রণোদনা সম্পূর্ণভাবে বাতিলের আহ্বান জানান।
#বাজেট_২০২৫_২৬
#সিপিডি
#কালো_টাকা
#ফাহমিদা_খাতুন
#জুলাই_আন্দোলন
#অর্থনীতি
#আবাসন_খাত
#নৈতিকতা