ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫
মঙ্গলবার (৩ জুন) চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য প্রকাশ করে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “ট্রাম্প ও শি'র মধ্যে একটি ফোনালাপ এই সপ্তাহেই হতে পারে। এটি মূলত সম্প্রতি জেনেভায় সম্পাদিত একটি অস্থায়ী বাণিজ্য চুক্তিকে ঘিরে নতুন করে উত্থাপিত বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনায় আসছে।”
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তা বাস্তবতার অপব্যাখ্যা।”
তারা যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) চিপ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ, এবং মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার ঘটনাকেও বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে।
গত শুক্রবার ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন:
“আমি খুব দ্রুত চীনের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলাম, কারণ জানতাম তাদের সামনে খারাপ কিছু আসছে। চুক্তির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল। কিন্তু এখন তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভেঙেছে।”
চুক্তিতে, উভয় পক্ষ উচ্চ হারে শুল্ক ও বাণিজ্যিক বাধা থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। তবে বর্তমান অবস্থা ইঙ্গিত দিচ্ছে—চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুতর প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, চীন প্রতিশ্রুত খনিজ সম্পদ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। এই ‘রেয়ার আর্থ’ উপাদানগুলো আধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের (যেমন স্মার্টফোন, ব্যাটারি ও সামরিক যন্ত্রপাতি) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি রোববার সিবিএস-কে বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে শিগগিরই ট্রাম্প ও শি সরাসরি আলোচনা করবেন এবং মতপার্থক্য দূর করতে পারবেন।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এটি কেবল বাণিজ্য নয়, বরং কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন অধ্যায়ে পৌঁছেছে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি ফোনালাপ করেননি। তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, আলোচনার উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
#ট্রাম্প
#শি_জিনপিং
#যুক্তরাষ্ট্র_চীন_বাণিজ্য
#বাণিজ্য_যুদ্ধ
#রেয়ার_আর্থ
#হোয়াইট_হাউজ
#চীন_যুক্তরাষ্ট্র_সম্পর্ক
📢 আপনার মতামত দিন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে ট্রাম্পের কৌশল কতটা কার্যকর বলে মনে করছেন আপনি? নিচে কমেন্ট করে জানান।