ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
📆 ৯ মে: রাখাইন উপকূল থেকে ২৬৭ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা।
⛴️ দুর্ঘটনায় মাত্র ৬৬ জন ফিরে আসেন।
❌ বাকিদের কোনো খোঁজ নেই।
📆 ১০ মে: আরেকটি কাঠের নৌকা ২৪৭ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে।
⚠️ ডুবে যাওয়ার পর ২১ জন বেঁচে ফিরেছেন।
❌ ২২৬ জন নিখোঁজ।
হাই কিউং জুন, ইউএনএইচসিআরের এশিয়া ও প্যাসিফিক ব্যুরো প্রধান বলেন:
“মিয়ানমারের ভয়াবহ সংঘাত পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গাদের ওপর দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়ন তাদের এমন চরম ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিতে বাধ্য করছে।”
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জাগরণের ঘণ্টা হওয়া উচিত।
দুটি নৌকার যাত্রীদের গন্তব্য নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে অভিজ্ঞতাভিত্তিক তথ্য বলছে, উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে পাড়ি জমানো রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য থাকে:
🇧🇩 বাংলাদেশ
🇮🇩 ইন্দোনেশিয়া
🇲🇾 মালয়েশিয়া
🌏 দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ
২০১৭ সালের আগস্টে সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (ARSA) মিয়ানমারের কয়েকটি নিরাপত্তা স্থাপনায় হামলা চালালে সেনাবাহিনী ভয়াবহ দমন অভিযান শুরু করে।
এতে:
হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ
লক্ষাধিক রোহিঙ্গার দেশত্যাগ
শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ
বাংলাদেশ এখন ১৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার ভার বহন করছে, যাদের বেশিরভাগই কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে জাতিসংঘকে জানিয়েছে— নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিনের বোঝা বহন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে আসায় শরণার্থী সংকট অবর্ণনীয় চাপে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন মৃত্যুবাহী যাত্রা বন্ধ করতে হলে—
মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নিতে হবে
মানবিক সহায়তা ও আন্তর্জাতিক চাপ আরও জোরালো করা দরকার