ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নমূলক প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন,
“অতীতে বহু প্রকল্প নেয়া হয়েছে যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা ছিল না। আবার অনেক প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় খরচও দেখা গেছে। এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“মানুষের কল্যাণে, দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোকে মজবুত করতে হলে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।”
তিনি মন্তব্য করেন,
“নীতিমালা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে জনগণের স্বার্থ ও অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন,
“অনেক প্রতিষ্ঠান টেকনিক্যালি অযোগ্য হয়েও কাজ পাচ্ছে। এতে কাঙ্ক্ষিত ফল আসে না, বরং উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”
তিনি বলেন,
“এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছ অডিট ও পারফরম্যান্স নিরীক্ষা চালু করতে হবে।”
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন,
“প্রকল্প গ্রহণে সংখ্যাভিত্তিক, উপাত্তনির্ভর বিশ্লেষণ জরুরি। সম্ভাব্যতা যাচাই না করে প্রকল্প হাতে নিলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়।”
এই সেমিনারে অর্থ উপদেষ্টা বারবার নৈতিকতা, জবাবদিহিতা, এবং ফলপ্রসূ উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
“প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে যদি জনগণের কথা বিবেচনায় রাখা হয়, তাহলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।”