ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপের আওতায় তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, ম্যান-মেইড ফাইবার, উল, ডায়ালাইসিস ফিল্টার, ইটিপি যন্ত্র, এমনকি কিছু অস্ত্র ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পর্যন্ত রয়েছে।
✅ প্রাথমিক তালিকায় ১৬১টি পণ্য
🎯 শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারের পরিকল্পনায় রয়েছে ১০০টি পণ্য
💰 বর্তমানে এসব পণ্যে সর্বোচ্চ ৩৭% শুল্ক আরোপিত
📉 প্রত্যাহার হলে আমদানি ব্যয় কমবে, ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে
এক সিনিয়র এনবিআর কর্মকর্তা বলেন:
“শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়ম অনুযায়ী, একবার শুল্ক কমালে তা সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।”
এনবিআর আশাবাদী, তবুও যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আমদানি বাড়বে, কারণ দেশটি বাংলাদেশের বড় অর্থনৈতিক অংশীদার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওই ১৬১টি পণ্যের আমদানির পরিমাণ ছিল ২৮,০০০ কোটি টাকা। সরকার পেয়েছিল ৬১০ কোটি টাকার রাজস্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, শুল্ক প্রত্যাহারে সাময়িকভাবে কিছু রাজস্ব হারালেও দীর্ঘমেয়াদে এটি ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হবে।
২০২৫ সালের ২ এপ্রিল, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপ করে। এতে বাংলাদেশের কিছু পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৩৭% শুল্ক নির্ধারিত হয়। যদিও আগে এসব পণ্যে গড় শুল্ক ছিল ১৫%। তবে এই নতুন শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র:
🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে
🇺🇸 বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার।
এই শুল্ক হ্রাস:
🇧🇩 যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবাহ আরও বাড়াবে
🤝 দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে
📦 আমদানি পণ্য সস্তা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন
🏭 কাঁচামাল সহজলভ্য হওয়ায় শিল্প খাতের উৎপাদন খরচ কমবে
এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় এসেছে, এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির আলোকে চূড়ান্ত হবে।