ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫
আপডেট : ২০ মে ২০২৫
সোমবার (১৯ মে) বিবিসির "টুডে" অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কতা দেন।
১১ সপ্তাহ পর ইসরায়েল সীমিতভাবে গাজায় ত্রাণ পাঠাতে অনুমতি দিলেও, বাস্তবে মাত্র ৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পেরেছে। তবে এই ট্রাকগুলো সীমান্ত পার হলেও এখনো ফিলিস্তিনিদের কাছে সহায়তা পৌঁছায়নি, জানিয়েছেন ফ্লেচার।
“সোমবার গাজায় পৌঁছানো পাঁচটি ট্রাক এক ফোঁটা জলের মতো। শিশুদের খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে এসব ট্রাকে, কিন্তু তা যদি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পৌঁছাতে না পারে, তাহলে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়বে,” — বলেন ফ্লেচার।
টম ফ্লেচার আরও জানান, মঙ্গলবার (২০ মে) ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ত্রাণ প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার কারণে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
“আমরা শিশুদের খাবার পৌঁছাতে সব ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। গাজাকে মানবিক সহায়তায় ভরে তোলার এখনই সময়,” — জোর দিয়ে বলেন ফ্লেচার।
বিবিসি সাংবাদিক আনা ফস্টারের প্রশ্নের জবাবে ফ্লেচার জানান, শিশু মৃত্যুর এই আশঙ্কাজনক পূর্বাভাস মাঠপর্যায়ে কাজ করা জাতিসংঘের কর্মীদের পর্যবেক্ষণ, হাসপাতাল ও স্কুলভিত্তিক চাহিদা মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে।
এদিকে গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এমন তথ্য দিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। এসব হামলা এমন সময় চলছে, যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা ইসরায়েলকে নতুন সামরিক অভিযান বন্ধ ও ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন,
“যুদ্ধ আগামীকালই শেষ হতে পারে, যদি হামাস তাদের জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে।”
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় এখনো ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
📌 প্রেক্ষাপট:
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের ফলে খাদ্য, ওষুধ ও পানি সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ২১ লাখ গাজাবাসী। জাতিসংঘের মতে, এখনই জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে, অঞ্চলটিতে ‘ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়’ অনিবার্য।