ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫
আপডেট : ২০ মে ২০২৫
সিনেটে কুশনারের পক্ষে ভোট পড়ে ৫১, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৪৫।
🔹 বিতর্কিত অতীত:
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং সাবেক আইনজীবী চার্লস কুশনার ২০০৪ সালে কর ফাঁকি, সাক্ষীকে ভয় দেখানোসহ একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। এরপর তাকে ফেডারেল কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০২০ সালে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির শেষ দিকে তিনি প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমা পান।
🔹 পারিবারিক সংযোগ:
চার্লস কুশনারের ছেলে জ্যারেড কুশনার ২০০৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন। ট্রাম্প প্রশাসনে জ্যারেড উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইসরায়েল-আরব সম্পর্ক উন্নয়নে।
🔹 দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ:
৭১ বছর বয়সী কুশনার এমন এক সময় প্যারিসে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স সম্পর্ক এবং ইউরোপ-আমেরিকার বাণিজ্য নীতিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ফ্রান্স ছাড়াও, মোনাকোতেও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
🔹 ট্রাম্পের প্রশংসা:
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ ট্রাম্প লিখেছেন,
“চার্লস কুশনার একজন অসাধারণ ব্যবসায়ী, দানশীল ব্যক্তি এবং দক্ষ চুক্তিবদ্ধ কর্তা। তিনি আমাদের দেশের স্বার্থের শক্তিশালী প্রতিনিধি হবেন।”
📌 প্রেক্ষাপট:
চার্লস কুশনারের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। অনেকেই এটিকে পরিবারভিত্তিক সুবিধা প্রদান (nepotism) হিসেবে দেখলেও, ট্রাম্পপন্থীরা এটিকে “যোগ্য ও বিশ্বস্ত” একজন প্রতিনিধির কূটনৈতিক দায়িত্বপ্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন।