প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডি-এমআই)-এর সাথে এক সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে কথা বলেন। এই সময়, সিনেটর পিটার্স বাংলাদেশের সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সিনেটর পিটার্স মন্তব্য করেন, মিশিগানে তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাস করেন, যার মধ্যে ডেট্রয়েট শহরও রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, এবং কিছু ভুল তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এরপর ড. ইউনূস জবাব দেন, “আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে বলুন। এইভাবে আমরা ভুল তথ্য প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি।”
সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কম সংস্কারে সম্মত হয়, তবে সরকার ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে। তবে যদি সংস্কারের বৃহত্তর প্যাকেজ প্রয়োজন হয়, তাহলে সাধারণ নির্বাচন কয়েক মাস পর অনুষ্ঠিত হবে।
ড. ইউনূস বলেন, "নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, এবং এটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।" তিনি আরও জানান, প্রধান কমিশনগুলো প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর জন্য সম্মতি জানালে, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। এই সনদটি দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে।
এছাড়া, সাক্ষাৎকালে দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েও আলোচনা করেছেন।
এই ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎকালে, দুই দেশ একে অপরের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন।