ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫
বরগুনা শহরের বুক চিরে প্রবাহমান ভাড়ানি খাল আজ দখল ও দূষণের মুখে। অথচ একসময় এটি ছিল বরগুনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথ ও পরিবেশগত ভারসাম্যের রক্ষাকবচ। খাকদোন নদী থেকে পায়রা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত এই খাল দিয়ে শহরের মূল বাজার ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন হতো।
কিন্তু দিনে দিনে খালটি দখল ও বর্জ্য ফেলার কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় বাসাবাড়ি, দোকান ও বাজারের বর্জ্য ফেলে দেওয়া হচ্ছে খালে, ফলে খালের পানি দূষিত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, এবং বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি।
২০১৮ সালে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) হাইকোর্টে মামলা করলে ২০১৯ সালে আদালত দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে খালের পূর্ব পাশের ৫০টিরও বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এতে কিছুটা মুক্ত হলেও খালটি আবারো নতুন করে দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে।
স্থানীয় মুরগি ব্যবসায়ী জানান, বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় তারা খালেই মুরগির লোম ও পানি ফেলে দিতেন। তবে এখন অনুধাবন করছেন, এটি শহরের ও পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর।
পরিবেশ কর্মী আরিফ রহমান বলেন, খালটির মাধ্যমে একসময় তালতলী, বালিয়াতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌপথে চলাচল হতো। আজ সেটি রূপ নিয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে।
বাপা বরগুনা শাখার সভাপতি আরিফ বলেন, “খাল দখলমুক্ত করতে আদালতের রায় এবং প্রশাসনের উদ্যোগ আমাদের বড় অর্জন। কিন্তু নতুন করে আবার দখলদাররা সক্রিয়। সবার সমন্বিত চেষ্টায় খালটিকে বাঁচানো এখনো সম্ভব।”
স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা বলেন, “এই খালের পানি বরগুনার বহু মানুষ রান্না ও গোসলের কাজে ব্যবহার করেন। খালের দূষণ মানেই শহরের মানুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকি।”
সচেতন নাগরিকদের দাবি, পৌরসভার নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, কঠোর নজরদারি ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছাড়া ভাড়ানি খালকে বাঁচানো সম্ভব নয়।
#ভাড়ানি_খাল #বরগুনা #খাল_দখল #খাল_দূষণ #পরিবেশ_সংরক্ষণ #নদী_বাঁচাও #বাপা #BargunaNews #EnvironmentBD #SaveTheCanal #OnlineNewsPortal #BreakingNewsBD