ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫
সোমবার (১৯ মে) সকাল ১১টায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে বড়াল নদীর উৎসমুখ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, “এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। বালু ও মাটি চোরদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের ১০টি স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দিনে বা রাতে, যেকোনো সময় অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলনের খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা জানান, বড়াল নদীর উৎসমুখ পুনরায় খননের কাজ শুরু করা হবে দ্রুতই। তিনি বলেন, “আমরা চাই, নদী বাঁচুক। বড়াল বাঁচুক। এজন্যই স্লুইসগেট অপসারণ ও নদী পুনঃখননের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ইতোমধ্যে প্রকল্প জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
তার মতে, বর্তমান বাস্তবতায় নদীতে স্লুইসগেট রাখার আর প্রয়োজন নেই। বরং এটি পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যতদিন দায়িত্বে আছি, ততদিনের মধ্যেই বড়ালের উৎসমুখে খননের কাজ শুরু করবো। পরবর্তী সরকার চাইলে এটি আরও সম্প্রসারিতভাবে চালিয়ে যেতে পারবে।”
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, ভারতের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ এখনও দেড় বছর বাকি রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ চুক্তি নবায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।