ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫
বুধবার সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘মেঘনা নলেজ ফোরাম’-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: “জলবায়ু পরিবর্তনে সম্প্রদায় ও বাস্তুতন্ত্রের সহনশীলতা বৃদ্ধি”।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, “বিশ্বের উন্নয়ন ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। এটি কম প্রতিকূল, কম সম্পদনির্ভর এবং আরও বেশি প্রকৃতিভিত্তিক হতে হবে।”
তিনি বাংলাদেশের নদী ও পরিচয়ের সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশ শুধু নদীর দেশই নয়, নদী আমাদের অস্তিত্বের অংশ।”
বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর অববাহিকা ভারত, নেপাল ও চীনের সঙ্গে ভাগ করা—এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুসমন্বিত পরিবেশ শাসন গড়ে তুলতে আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।”
সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, “নদী শুধু মানুষের জন্য নয়, নদীরও অধিকার আছে। সেই অধিকারকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়াতেও এ নিয়ে আলোচনা জরুরি।”
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর অঞ্চলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “হাওর শুধু কৃষি বা মাছের জন্য নয়, এটি একটি অনন্য প্রতিবেশব্যবস্থা। তবে আজ হাওর ও মেঘনা অববাহিকা ভয়াবহ পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে—বালু উত্তোলন, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন ও আকস্মিক বন্যা এর জন্য দায়ী।”
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কার্যকর পূর্বসতর্কতা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী ও হ্রদ সংরক্ষণ কনভেনশনে যুক্ত প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ। এটি একটি পরিবেশ নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত হলেও, সার্ক এখনো নদী ইস্যুকে বহুপাক্ষিক নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক বলে বিবেচনা করে—যা আঞ্চলিক সহযোগিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।”
উপদেষ্টা বলেন, “যখন সরকারগুলো ব্যর্থ হয়, তখন এমন ফোরামে কমিউনিটির কণ্ঠস্বর ও জ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। কারণ সহযোগিতাই জলবায়ু সহনশীলতার পথ।”
জলবায়ু পরিবর্তন
, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
, নদীর অধিকার
, হাওর
, আন্তঃসীমান্ত নদী
, পরিবেশ ফোরাম
, মেঘনা
, বাংলাদেশ
, সার্ক
, জলবায়ু ন্যায়বিচার
, Climate Justice
, Nature-Based Solutions