ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন,
“২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। লাখো মানুষের সঙ্গে আমাদের দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। শহীদদের রক্ত ও আহতদের ত্যাগকে স্মরণেই আমরা এ কর্মসূচি নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন,
“৫ আগস্ট ইতোমধ্যেই সরকারিভাবে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, এটিই প্রমাণ করে যে এই অভ্যুত্থান ছিল ঐতিহাসিক।”
১. মসজিদ-মাদরাসা ও দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল
২. শহীদ কবর জিয়ারত, পরিবার দেখা, আহতদের খোঁজ
৩. সারাদেশে আলোচনা সভা, গণজমায়েত, সংস্কার দাবি
4. কিশোর ও ছাত্র কর্মসূচি, কুইজ, দেয়ালিকা, ভিডিও প্রদর্শনী
5. ১৬ জুলাই: শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাত দিবসে বিশেষ আয়োজন
6. বৃক্ষরোপণ, রক্তদান, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি
7. পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট, দেয়াল লিখন প্রচার
8. ৫ আগস্ট: ঢাকাসহ সারাদেশে গণসমাবেশ, র্যালি
ড. কাদের জানান,
“আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হবে এবং একটি সাংবিধানিক সংস্কার ভিত্তিক জুলাই সনদ ঘোষণা হবে।”
তিনি দাবি করেন, এই আন্দোলন শুধু সরকারের পতনের জন্য নয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য গড়ে তুলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খেলাফত মজলিস মূলত জুলাই অভ্যুত্থানকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে একটি জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছে। ধর্মীয় আবহে সংগঠিত সামাজিক কর্মসূচি, বিশেষ করে শহীদ স্মরণ ও গণজমায়েত—এটি জনসম্পৃক্ততার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।