ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদল আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হলো বিএনপি ঘোষিত ৩৬ দিনের ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মসূচি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন,
"এটি শুধুমাত্র একটি আলোক প্রজ্বলন নয়, এটি গণতন্ত্রের পদযাত্রার সূচনা। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একসময় অধিকার আদায়ের মঞ্চ, কিন্তু হাসিনার আমলে তা হয়ে উঠেছিল ডাকাতদের গ্রাম।"
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন:
"আগে যখন নৌকায় করে যেতাম, মাঝি বলত ‘চুপ থাকুন, ওই গ্রাম ডাকাতদের গ্রাম’। সেই আতঙ্কের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন শান্তির বার্তা দিচ্ছে।"
রিজভী শেখ হাসিনার ছাত্র রাজনীতি দমন নিয়ে বলেন:
"ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে তিনি বলেছিলেন— ‘সব কিছু দিয়ে স্তব্ধ করে দেব’। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদের সংগ্রাম তিনি ঠেকাতে পারেননি।"
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের বহু নেতা-কর্মী "পেটোয়া বাহিনীর" হাতে গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। তারপরও তারা অতীতের মতো ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এই মোমবাতি প্রজ্বলন দিয়ে শুরু হলো বিএনপির ৩৬ দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন:
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসিফুজ্জামান রিপন
ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব
সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্র রাজনীতির স্মারকস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে "ডাকাতদের গ্রাম" বলা এবং শেখ হাসিনার আমলে দমন-পীড়নের অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে স্পষ্ট বার্তা দেয়—বিএনপি এখন আবার ‘ছাত্রভিত্তিক গণআন্দোলনের পুনর্জাগরণ’-এর পথে।
রুহুল কবির রিজভী
, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
, শেখ হাসিনা
, ছাত্রদল
, গণতন্ত্র
, বাংলাদেশ রাজনীতি
, মোমবাতি প্রজ্বলন
, বিএনপি কর্মসূচি
, July Uprising
, ছাত্র আন্দোলন