ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫
তৃণমূলের সঙ্গে এই প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস, সিপিএম ও সিপিআই (এমএল) একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
তবে, বিরোধী দল বিজেপি বলছে—
“মমতা যখনই রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েন, তখনই ‘বাঙালি-বাঙালি’ বলে জনমত টানার চেষ্টা করেন।”
দিল্লি, আসাম, ওডিশা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ডসহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের আটক, উচ্ছেদ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় আটক বা ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
তৃণমূল বলছে, এ এক প্রকার “সংবিধানবিরোধী বাঙালি বিদ্বেষ”।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৭ জুলাই বুধবার দুপুর ২টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল হবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন—
“বাঙালিদের গায়ে বাংলাদেশি তকমা মেরে হেনস্তা চলবে না। প্রতিটি জেলায় আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”
এই কর্মসূচির মাত্র একদিন পর, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্গাপুরে একটি জনসভায় অংশ নেবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতেই কৌশল নিচ্ছেন মমতা।
🔶 বিজেপির সুকান্ত মজুমদার (কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী):
“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিক বানিয়ে ভোট ব্যাংক সাজান। বাঙালি হেনস্তার নাটক করে বাস্তব থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চান।”
🔵 কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী:
“রাজ্যের উচিত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বতন্ত্র কল্যাণ মন্ত্রণালয় তৈরি করা। ওদের জন্য কিছুই করা হয়নি।”
🔴 সিপিআই (এমএল) লিবারেশন:
“১৬ জুলাই ওডিশা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করবো। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ের দাবিতে সোচ্চার হবো।”
#TMCProtest #BengaliIdentityCrisis #MamataBanerjee #BJPvsTMC #BangladeshiTogma #MigrantWorkersIndia #BJPStates #PoliticalProtestIndia #BengaliInIndia #BengaliMigration #AdhirChowdhury #SukantaMajumdar #WestBengalPolitics #TMCMarch #IndianPolitics2025