ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫
এই হামলার ফলে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৩০ ছাড়িয়ে গেছে। খবরটি জানিয়েছে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি।
গাজা উপত্যকায় ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩,২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজায় স্থল ও আকাশ হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩,৩৩৯ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে, ৩৬০ জন নতুন করে আহত হয়েছেন, ফলে এই সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১,২১,৩৪০ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন, তবে উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের কারণে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। এরপর গাজায় প্রায় দু'মাস শান্তি বজায় ছিল, তবে হামাসের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ইসরায়েল পুনরায় বিমান হামলা শুরু করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় এখনও পর্যন্ত ৩,১৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮,৯৯৩ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এই হামলার ফলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যায়।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। একইসাথে, গাজার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে, নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
গাজার এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে চলমান হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিলিস্তিন।