ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫
তিনি বলেন, সরকার যদি নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।
রোববার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন,
"অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা নিজেদের নির্ধারিত দায়িত্ব ছেড়ে অন্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। এ ধরণের কর্মকাণ্ড আমরা মেনে নেব না, বরং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরালো করবো।"
তিনি আরও বলেন,
"দেশের মানুষ দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর মুক্তভাবে শ্বাস নিতে চায়। কিন্তু এখনো কিছু ফ্যাসিবাদী দোসর ঘাপটি মেরে আছে, তারা নানা প্রক্রিয়ায় এই সরকারের ন্যায্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।"
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন,
"দেশের সামনে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এখন একটি সংস্কারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের বারবার এই আহ্বান—দ্রুত নির্বাচন দিন, এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।"
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে রিজভী বলেন,
"নজরুল শুধু কবি ছিলেন না, ছিলেন বিপ্লবের অনুপ্রেরণা। তাঁর কবিতা, গান, সাহিত্য আমাদের যুগে যুগে আন্দোলন-সংগ্রামে উদ্দীপ্ত করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরের লড়াইয়েও নজরুল আমাদের প্রেরণা দিয়েছেন।"
তিনি বলেন,
"নজরুল ছিলেন শৃঙ্খলমুক্তির কবি। ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনে তার কণ্ঠস্বর ছিল বঞ্চিত মানুষের পাশে। আজও তার চেতনা আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ করে।"
কিছু উপদেষ্টা সংকট ঘনীভূত করতে কাজ করছেন
নিরপেক্ষ আচরণ না হলে সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে
দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি
নজরুল এখনও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রেরণা
📌 পাঠকের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন:
আপনার কী মনে হয়—অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা রক্ষা করতে পারছে কি না?
কমেন্টে আপনার মতামত জানাতে পারেন।