ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
বৈঠক শেষে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, টার্মিনালটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত নৌবাহিনী ও বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ছয় মাস ধরে পরিচালনা করা হবে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনও সাংবাদিকদের জানান, টার্মিনালের পরিচালনায় দরপত্র ডাকা হবে না, বরং সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ছয় মাসের জন্য কর্তৃত্ব দেওয়া হবে। আগামীকাল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০০৫ সাল থেকে দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ১৭ বছর ধরে এনসিটি পরিচালনা করে আসছে। তাদের বর্তমান চুক্তি আগামী ৬ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে। এরপর থেকে নৌবাহিনী বন্দরের সহায়তায় এই টার্মিনাল পরিচালনার ভার গ্রহণ করতে পারে।
নিউমুরিং টার্মিনালে রয়েছে পাঁচটি জেটি, যেখানে চারটি সমুদ্রযাত্রী ও একটি অভ্যন্তরীণ নৌপথের জাহাজ প্রবেশ করতে পারে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কনটেইনার টার্মিনাল, যেখানে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানো, স্থানান্তরসহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
গত ১৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই টার্মিনালকে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে পরে বন্দরের সিদ্ধান্ত বদলে নৌবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালনার পক্ষে মত দেওয়া হয়। গত শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও বন্দর কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে নিউমুরিং টার্মিনাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বর মাসে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) বাংলাদেশের পক্ষে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করছে। আইএফসির চুক্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত টার্মিনালের দায়িত্ব নৌবাহিনীর হাতে থাকবে।
#নিউমুরিংটার্মিনাল
#চট্টগ্রামবন্দর
#নৌবাহিনী
#কনটেইনারটার্মিনাল
#বাংলাদেশঅর্থনীতি
#ডিপিওয়ার্ল্ড
#টের্মিনালপরিচালনা
#বন্দরনিয়ন্ত্রণ
#বাংলাদেশসরকার
#আইএফসি