ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫
এই প্রবৃদ্ধি দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ার ঘটনা চিহ্নিত করল। এর আগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যা ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি জুন মাসের ২৮ দিনে প্রবাসীরা প্রায় ২৫৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৬.৭ শতাংশ বেশি। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারী কঠোর অবস্থানের কারণে অবৈধ হুন্ডি চ্যানেলের চাহিদা কমে আসায় বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন কারণেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৮ মাস পর সর্বোচ্চ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রিজার্ভ ২০২৩ সালের মার্চের পর থেকে এই পর্যায়ে আসতে পারেনি। এছাড়া, রপ্তানিতে ৯ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে সরকারের ঋণ সহায়তা (বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ) এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
মে মাসে ডলারের বাজারমূল্য পুরোপুরি মুক্ত করা হলেও বৈদেশিক মুদ্রার উচ্চ প্রবাহের কারণে ডলারের দাম প্রায় ১২২ থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির নতুন হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, নিট রিজার্ভ ২০.৩২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার (১৭.২৯ বিলিয়ন ডলার) থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি।
#রেমিট্যান্স #বাংলাদেশঅর্থনীতি #বৈদেশিকমুদ্রারিজার্ভ #BangladeshEconomy #Remittance #ForeignReserve #IMF #WorldBank #ExportGrowth