এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫
স্থানীয়রা জানায়, তালগাছটি ছিল বাবুই পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ও প্রজননের একমাত্র কেন্দ্র। গাছ কাটার ফলে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ভেঙে যায় এবং সঠিক সংখ্যা না জানা গেলেও প্রায় পাঁচ শতাধিক ছানা ও ডিম ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয়রা এই কৃত্যকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি এক নির্মম আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গাছটি পূর্বে মোবারেক আলী ফকির মালিকানাধীন জমির পাশে সরকারি সড়কের পাশে অবস্থিত ছিল। পরে এটি বিক্রি হয় মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন মোবাইলে বলেন, “আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি এবং বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হবে।”
বাবুই পাখি বাংলাদেশের সংরক্ষিত প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। তাদের বাসা গঠনের জটিল ও নান্দনিক পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের প্রশংসিত। এই ধরনের বন্যপ্রাণী হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র প্রকৃতির প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, মানবিক মূল্যবোধকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
#ঝালকাঠি #বাবুইপাখি #তালগাছ_কাটা #বন্যপ্রাণী_সুরক্ষা #পরিবেশ_ধ্বংস #বাংলাদেশ #পরিবেশ_সংরক্ষণ