ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান। গত ২২ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চীনে অবস্থান করে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
মির্জা ফখরুল জানান, পাঁচ দিনব্যাপী সফরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং চীন সরকারের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এসব আলোচনায় দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়।
তিনি বলেন,
“প্রতিটি বৈঠকে চীনের নেতৃবৃন্দ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন।"
এছাড়া, চীনের পলিটব্যুরো সদস্য শি লি হংসং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মির্জা ফখরুল জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিপ্রযুক্তি, ব্লু ইকোনমি ও এসএমই খাতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন,
“চীন এ বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।”
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
“আমরা চীনকে অনুরোধ করেছি—রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে। তারা জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।”
বিএনপির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের শ্রমশক্তির দক্ষতা, বিনিয়োগ পরিবেশ ও ঋণ সহায়তার বিষয়েও চীনের সহযোগিতা চেয়েছে।
“বিগত ১৭ বছরের রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে। আমরা চীনকে ঋণের সময়সীমা পুনর্বিন্যাস ও অনুদানের সম্ভাবনা বিবেচনার অনুরোধ করেছি,”—বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল জানান, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও রপ্তানি সুবিধা, কুনমিংয়ে ৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা এবং চীন-বাংলাদেশ স্থলপথ সংযোগ—এসব প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
শেষে তিনি বলেন,
“এই সফর ছিল অত্যন্ত সফল। দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
#বিএনপি #মির্জাফখরুল #চীনসফর #বাংলাদেশচীনসম্পর্ক #রোহিঙ্গা #তারেকরহমান #রাজনৈতিকসংবাদ #অর্থনৈতিকসহযোগিতা #ডিজিটালটেকনোলজি #কমিউনিস্টপার্টি