হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
এই অঞ্চলে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বন্যপ্রাণী— মেছো বিড়াল, হুতুম পেঁচা, গুইসাপ, দেশীয় পাখি ও নানা প্রজাতির সাপ। কিন্তু বন কর্মকর্তাদের নেই হিংস্র বা অসুস্থ প্রাণী ধরার প্রশিক্ষণ বা উপযুক্ত সরঞ্জাম, ফলে প্রাণী উদ্ধার, সংরক্ষণ ও চিকিৎসা দিতে গিয়ে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন:
"অফিসের অবস্থা এতই করুণ যে বর্ষার দিনে কাগজপত্র রক্ষাই হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জ। সামনের বারান্দা বৃষ্টিতে ডুবে যায়। কাজ চালাতে হয় স্টোররুমে বসে।"
বন কর্মকর্তা জানান, এলাকার মাঠ-ঘাট ও ঝোপঝাড়ে হরহামেশাই দেখা মেলে মেছো বিড়াল, গুইসাপ, ও নানা প্রজাতির সাপের। প্রাণীগুলো স্থানীয় কৃষকদের ক্ষেত নষ্ট করলে কৃষকরা অনেক সময় মারধর করে আটক রাখে। তখন বন বিভাগের কাছে সেগুলো উদ্ধারের অনুরোধ আসে।
“আমাদের কাছে খাঁচা, জাল বা ধরার গ্লাভস নেই। প্রাণী ধরে রাখতে বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয় খুলনা বা ঢাকার বিভাগীয় অফিসের সহায়তায়। এতে সময় নষ্ট হয়, আহত প্রাণীগুলো ঠিকমতো সেবা পায় না।”
মিজানুর রহমান আরও বলেন,
“একটি আধুনিক অফিস, প্রশিক্ষিত জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকলে আমরাই প্রাণী উদ্ধার, চিকিৎসা ও সংরক্ষণ করতে পারতাম। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি বারবার জানিয়েছি।”
দামুড়হুদা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন:
“এ অঞ্চলে প্রচুর বন্যপ্রাণী রয়েছে, কৃষকের ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন বিভাগকে এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় কিন্তু তাদের সরঞ্জামের ঘাটতি আছে। আমরা বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করছি, দ্রুত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
বিষয় | অবস্থা |
---|---|
অফিস ভবনের অবস্থা | জরাজীর্ণ, ৩৫ বছরের পুরনো |
প্রশিক্ষিত জনবল | নেই |
বন্যপ্রাণী ধরার সরঞ্জাম | নেই |
সংরক্ষণ ও চিকিৎসা সুবিধা | নেই |
বিভাগীয় সহায়তা | খুলনা/ঢাকা থেকে আনতে হয় |
#WildlifeCrisis #ForestDepartment #Chuadanga #BangladeshEnvironment #BiodiversityCrisis