ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫
তবে প্রশ্ন উঠছে—সচরাচর মধ্যবিত্ত যারা ৫–৭ লাখ টাকা সঞ্চয় করে রাখে, তাদের জন্য নতুন করে কী সুবিধা এসেছে? কেননা এই সীমার মধ্যেই আগেও বহু মানুষ সঞ্চয়পত্র কিনতেন, এমনকি রিটার্ন না দিয়েও ‘অনানুষ্ঠানিকভাবে’ সেটা করা যেত।
সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচটি সুবিধার কথা বলা হচ্ছে:
যারা এখনো রিটার্ন জমা দেন না—বিশেষ করে গৃহিণী, স্বল্প আয়ের চাকরিজীবী, বয়স্ক মানুষ বা অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নাগরিকরা—তাদের জন্য এটা স্বস্তির।
পরিবার সঞ্চয়পত্র নারী-নির্দিষ্ট। অনেক নারীর আয়কর রিটার্ন না থাকায় সঞ্চয়পত্র কেনা কঠিন হয়ে উঠছিল। এখন তারা সহজেই এই সীমার মধ্যে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
রিটার্নের কাগজ জোগাড়, দাখিল—সবই সময়সাপেক্ষ এবং কিছু অর্থব্যয়ী ছিল। এখন অনেকেই ‘সাধারণ বিনিয়োগকারী’ হিসেবে সহজেই সঞ্চয়পত্রে ঢুকতে পারবেন।
অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারই হয়তো ১৫-২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে চায়—কিন্তু সেখানে বাধা থেকেই যাচ্ছে। রিটার্ন বাধ্যতামূলক। কাজেই সুবিধাটি এক অর্থে আধা-মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য প্রযোজ্য।
২০২৫ সালের বাজেটের পর সঞ্চয়পত্রের মুনাফা সর্বোচ্চ ১১.৯৮% থেকে কমিয়ে ৯.৭২%-এ নামানো হয়েছে, যা আগের তুলনায় কম। ফলে মুনাফার দিক থেকে বিনিয়োগকারীরা আগের মতো স্বস্তিতে নেই।
নতুন ঘোষণার পরেও সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে। অনেকে বলছেন, এতে দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের আকর্ষণ কমে যাচ্ছে।
আসমা আক্তার, একজন গৃহিণী, বললেন:
"আমি ৭ লাখ টাকা পরিবার সঞ্চয়পত্রে রেখেছিলাম মেয়ের পড়াশোনার জন্য। আগে ট্যাক্স রিটার্ন চাইলে ভয় পেতাম। এখন কিছুটা সাহস পাচ্ছি।"
রাকিব হোসেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত:
"১০ লাখ টাকার সীমা ভালো, কিন্তু মুনাফা যদি কমতে থাকে, তাহলে আর বিনিয়োগ করবো না।"
রিটার্নের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়ে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু একইসঙ্গে মুনাফা কমানো এবং বিনিয়োগ সীমার বাধা থাকায় পুরো সুবিধা অনেকে পাচ্ছেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, সঞ্চয়পত্রকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুরক্ষামূলক বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে কর কাঠামো ও মুনাফা দুই দিক থেকেই আরও ভারসাম্য আনতে হবে।
#সঞ্চয়পত্র
#মধ্যবিত্ত
#আয়কর_রিটার্ন
#অর্থনীতি
#বিনিয়োগ
#সঞ্চয়
#সুদহার
#পরিবার_সঞ্চয়পত্র