ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫
আপডেট : ২১ মে ২০২৫
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে ১০ শলাকার প্যাকেটের ন্যূনতম খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করলে ধূমপানের হার কমবে এবং তরুণদের মধ্যে আসক্তি হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে প্রস্তাব করা হয়, উচ্চ স্তরের দাম ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা ও প্রিমিয়াম স্তরে ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা।
এছাড়া বিড়ি ও জর্দা-গুলের ওপরেও কর বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। যেমন:
ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ি: ২৫ টাকা
ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ি: ২০ টাকা
১০ গ্রাম জর্দা: ৫৫ টাকা
১০ গ্রাম গুল: ৩০ টাকা
সব তামাকপণ্যে ৬৭% সম্পূরক শুল্ক, ১৫% ভ্যাট এবং ১% স্বাস্থ্য সারচার্জ আরোপ রাখার দাবি জানানো হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, “বর্তমান মূল্যস্তর বিভাজন তামাক নিয়ন্ত্রণে বাধা। নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে দাম বাড়ালে ধূমপান নিরুৎসাহিত হবে।”
বিডিআর তদন্ত কমিশনের সদস্য মুন্সী আলাউদ্দীন আল আজাদ বলেন, প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে ৮.৬ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৮.৭ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যু রোধ হবে এবং প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।
এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রদত্ত পুরস্কার প্রাপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে অভিনন্দন জানানো হয়।