ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫
আপডেট : ২০ মে ২০২৫
সোমবার (১৯ মে) ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার ও রোববার দুই দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়। খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তানে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) এর বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়।
লাক্কি মারওয়াত জেলায় এক অভিযানে ‘ভারত সমর্থিত’ ৫ জঙ্গি নিহত হয়।
বান্নু জেলায় আরেক অভিযানে ২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকায় কনভয়ের ওপর হামলা চালালে পাল্টা অভিযানে ২ সন্ত্রাসী নিহত হয়।
এছাড়া গোলাগুলির সময় সিপাহী ফরহাদ আলী তুরি (২৯) ও ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (৩২) শহীদ হন।
আইএসপিআরের দাবি, অভিযানে নিহত জঙ্গিরা ভারতের সমর্থনে পরিচালিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত ছিল। তারা পাকিস্তানে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এখনো কিছু সন্ত্রাসী ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে এবং তাদের নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় বাহিনীটি।
“আমাদের সাহসী সৈনিকদের আত্মত্যাগ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে আরও দৃঢ় করেছে,” — আইএসপিআর।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিরাপত্তা বাহিনীর এ সফল অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
জারদারি বলেন,
“সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন,
“বেলুচিস্তানে নিরীহ জনগণের জীবনে হুমকি তৈরি করেছিল ভারতের ষড়যন্ত্র। এই সফল অভিযান সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।”
📌 প্রেক্ষাপট:
গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে বিশেষ করে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে এই সহিংসতার পেছনে দায়ী করে আসছে, যদিও নয়াদিল্লি এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।