বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫
আপডেট : ২০ মে ২০২৫
পুলিশ জানায়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে নোবেল সাত মাস ধরে আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, নোবেল ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গুলশানে ডেকে নেন, এরপর তাকে ডেমরার একটি বাসায় দীর্ঘদিন আটকে রাখেন। এই সময়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলও করেন তিনি।
ওসি জানান, পুলিশের অভিযান শুরু হয় ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর, এবং সোমবার রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নোবেল পালিয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পরে রাত ২টার দিকে ডেমরা এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে নোবেল একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সীমান্ত পথে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি মাহমুদুর রহমান।
সম্প্রতি নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাতে দেখা যায়। পুলিশের ধারণা, ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারীই এই ইডেন কলেজের ছাত্রী। ভিডিওটি দেখে ছাত্রীর অভিভাবকরা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন এবং এরপরই মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ আজ মঙ্গলবার (২১ মে) নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে জানান, তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন।
সালসাবিল লেখেন:
“আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি এবং আমি কারও বিরুদ্ধেই কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন নোবেল। পরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। আগেও তার বিরুদ্ধে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্রতিশ্রুতি না রাখা, মাদকাসক্তি, অপেশাদার আচরণ ইত্যাদি নানা ইস্যুতে বিচারাধীন মামলা রয়েছে।
২০২৩ সালে তিনি শরীয়তপুরের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে না গিয়েও অগ্রিম টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এবং একদিনের রিমান্ডেও ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে দ্রুত আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। নোবেলকে আজ আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে ডেমরা থানা।