ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
মঙ্গলবার (২৭ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২৪ মে এক অনির্ধারিত বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, “পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তোলা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
ড. মোশাররফ বলেন, “সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে বলার আগে দেখতে হবে—এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? আমরা শুরু থেকেই উপদেষ্টা পরিষদকে সহযোগিতা করে এসেছি। এখন তাদের এই ধরনের বিমূর্ত ও অনির্দিষ্ট অভিযোগ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।”
তিনি দাবি করেন, এ ধরনের বক্তব্য জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি অনাস্থা ও রাজনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করার সামিল।
অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা।
বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ, যাতে রাজনৈতিক ঐক্যে বিভাজন না ঘটে।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ত্বরান্বিত করা এবং স্বৈরাচার ঠেকাতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন।
বিএনপি বলছে, তারা সরকারের সংস্কার বা বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কার্যকলাপে যুক্ত নয়, বরং সেগুলো সফল হোক—এই চেষ্টাই করছে।
তবে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে কোনো ‘গোষ্ঠী’ বা শক্তির নাম না করে দায়িত্বকে ‘অসম্ভব’ বলা হয়েছে—এটিই এখন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন:
মির্জা আব্বাস
ড. আবদুল মঈন খান
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
হাফিজউদ্দিন আহমেদ
সেলিমা রহমান প্রমুখ।