ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
সোমবার বার্লিনে এক ইউরোপীয় ফোরামে এই ঘোষণা দেন নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ।
চ্যান্সেলর মার্জ বলেন,
“ইউক্রেনকে সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারে আর কোনো পাল্লা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ নেই। ইউক্রেন এখন রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতেও পাল্টা হামলা চালাতে পারবে।”
এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়, যখন রাশিয়া একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে বড় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এতে অন্তত দুই ডজন মানুষ, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে, নিহত হয়েছে।
জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর মার্জ তার পূর্বসূরি ওলাফ শলৎসের থেকে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। শলৎস ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর বিরোধী ছিলেন।
তবে এখনো জার্মানির নিজস্ব টাউরাস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালের নভেম্বরে ইউক্রেনকে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের সবুজ সংকেত দেয়, যদিও সে সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে সময় লেগেছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখন ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি দেন।
রাশিয়া বারবার সতর্ক করে বলেছে—যদি পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাত হিসেবে দেখা হবে। এমনকি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন,
“এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি রাজনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টা ব্যাহত করবে।”
সিএনএন জানায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী বুধবার বার্লিন সফরে যাচ্ছেন।
এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘পুরোপুরি পাগল’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে একইসঙ্গে তিনি জেলেনস্কির কিছু মন্তব্যকেও “সমস্যা সৃষ্টিকারী” বলেছেন।
মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি, লিন্ডসি গ্রাহাম, এবং কংগ্রেস সদস্য ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক ও ডন বেকন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে।
বিশ্লেষণ:
এই সিদ্ধান্ত কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, কূটনৈতিক অঙ্গনেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউক্রেনের হাতে এখন আগের চেয়ে বেশি ‘নির্বাচনের ক্ষমতা’, আর মস্কোর প্রতিক্রিয়া এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সূত্র: সিএনএন, তাস, রয়টার্স